প্রভাত বার্তা:নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার উত্তর ইসদাইর, গাবতলী ব্যাংক টাউন,এলাকার চিহৃিত কিশোর গ্যাং লিডার ও মাদক ব্যাবসায়ী নিলয় বাহিনী মামলা প্রত্যাহার করে নেবার জন্য একের পর এক হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে জানান মামলার বাদী মায়া আক্তার।
যানা যায় বিগত ১১/৪/২৪ রাত আনুমানিক ১০:৩০ মিনিটের সময় কিশোর গ্যাং লিডার নিলয় আহম্মেদ (২৬), পিতা- সামসুল, ২। রিপন (২৫), পিতা- জমু মিয়া, ৩। রিফাত (২৪), পিতা- ইউনুছ, ৪। শাহাদাৎ (২৩), পিতা- অজ্ঞাত, ৫। ওয়াজকুরুনী (২৭), পিতা- কাদের কসাই, ৬। তুরাগ (২৭), পিতা- অজ্ঞাত, ৭। মুন্না (২৬), পিতা- মোঃ নিজাম, ৮। হেলাল (২৮), পিতা- অজ্ঞাত, ৯। নাসির @ টম (২৩), পিতা- অজ্ঞাত, ১০। সিফাত (২১), পিতা- অজ্ঞাত, ১১। সাব্বির (২৩), পিতা- অজ্ঞাত, ১২। ইমন @ চুইন্না (২০), পিতা- মুকুল মিয়া, ১৩। জুবায়ের (২০), পিতা- ইউনুস, ১৪। নয়ন (২০), পিতা- অজ্ঞাত, ১৫। তুহিন (২৩), পিতা- অজ্ঞাত, সর্ব সাং- পূর্ব ইসদাইর, কাপড় পট্টি, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ১৬। মোঃ জুয়েল (৩৫), পিতা- আল আমিন চৌধুরী, সাং- ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ী, ১৭। মামুন (৩৫), পিতা- মৃত ইউনুস, সাং- লালপুর পৌষার পুকুরপাড়, উভয় থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অঅভিযোগের রেশ ধরেই একের পর এক হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এই কিশোর গ্যাং লিডার ও মাদক ব্যবসায়ী নিলয় বাহিনী।
উল্লেখিত অভিযোগ নামা হুবহু তুলে ধরা হলো
আমি মায়া আক্তার (৩৮), পিতা- হাজী আবুল কাশেম, মাতা- মেহেরুন নেছা, এনআইডি- ১৯৩৮৮৯৯৪২২, সাং- উত্তর ইসদাইর, গাবতলী ব্যাংক টাউন, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। থানায় হাজির হইয়া বিবাদী ১। নিলয় আহম্মেদ (২৬), পিতা- সামসুল, ২। রিপন (২৫), পিতা- জমু মিয়া, ৩। রিফাত (২৪), পিতা- ইউনুছ, ৪। শাহাদাৎ (২৩), পিতা- অজ্ঞাত, ৫। ওয়াজকুরুনী (২৭), পিতা- কাদের কসাই, ৬। তুরাগ (২৭), পিতা- অজ্ঞাত, ৭। মুন্না (২৬), পিতা- মোঃ নিজাম, ৮। হেলাল (২৮), পিতা- অজ্ঞাত, ৯। নাসির @ টম (২৩), পিতা- অজ্ঞাত, ১০। সিফাত (২১), পিতা- অজ্ঞাত, ১১। সাব্বির (২৩), পিতা- অজ্ঞাত, ১২। ইমন @ চুইন্না (২০), পিতা- মুকুল মিয়া, ১৩। জুবায়ের (২০), পিতা- ইউনুস, ১৪। নয়ন (২০), পিতা- অজ্ঞাত, ১৫। তুহিন (২৩), পিতা- অজ্ঞাত, সর্ব সাং- পূর্ব ইসদাইর, কাপড় পট্টি, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, ১৬। মোঃ জুয়েল (৩৫), পিতা- আল আমিন চৌধুরী, সাং- ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ী, ১৭। মামুন (৩৫), পিতা- মৃত ইউনুস, সাং- লালপুর পৌষার পুকুরপাড়, উভয় থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, উল্লেখিত বিবাদীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও খারাপ প্রকৃতির লোক। বিবাদীরা বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করা স্বত্বেও তাহারা একত্রিত হইয়া বিভিন্ন সময় এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করিয়া বেড়ায় এবং বিবাদীরা বিভিন্ন সময় আমাদের উল্লেখিত ঠিকানার বাসার সামনে বসিয়া আড্ডা দেয়। আমার ছেলে মাহফুজুর রহমান মাহিন ওরফে মার্টিন (১৯) বিবাদীদেরকে আমাদের বাড়ীর সামনে আড্ডা দিতে বাধা নিষেধ করিলে বিবাদীরা আমার ছেলেকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে এবং বলে যে, আমার ছেলে যদি পুনরায় বিবাদীদেরকে বাড়ীর সামনে আড্ডা দিতে বাধা নিষেধ করে তাহা হইলে বিবাদীরা আমার ছেলেকে জীবনে শেষ করিয়া ফেলিবে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ইং- ১১/০৪/২০২৪ তারিখ রাত্র অনুমান-১০.৩০ ঘটিকার সময় আমার ছেলে মাহফুজুর রহমান মাহিন ওরফে মার্টিন (১৯) আমার উল্লেখিত ঠিকানা ফতুল্লা থানাধীণ উত্তর ইসদাইর গাবতলী ব্যাংক টাউনস্থ আমার নিজ বাড়ীর সামনে অবস্থানকালে উল্লেখিত বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা হাতে ধারালো চাপাতি, ছোরা, চাকু, সুইচ গিয়ার চাকু, লোহার রড, কাঠের ডাসা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বে-আইনী জনতাবদ্ধে আমার ছেলের উপর অতর্কিত ভাবে আক্রমন করতঃ এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে ১নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলের মাথায় কোপ মারিতে গেলে আমার ছেলে ডান হাত দ্বারা ফিরাইলে উক্ত চাপাতির কোপ আমার ছেলের ডান হাতের কজ্জির উপরে লাগিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম প্রাপ্ত হয়। ২ ও ৪নং বিবাদীদ্বয়ের হাতে থাকা ছোরা দিয়া আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলে মাহফুজুর রহমান মাহিন ওরফে মার্টিন (১৯) পিঠের ডান ও বাম পাশে পোচ মারিয়া রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ৩নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দ্বারা আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডান পায়ের গোড়ালীর উপরে কোপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। আমার ছেলের ডাক চিৎকারে আমার স্বামী মিজানুর রহমান (৪০) বাসা হইতে বাহির হইয়া আমার ছেলেকে রক্ষা করিতে আগাইয়া গেলে ১নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর মাথার বাম পাশে কোপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে এবং ২নং বিবাদীর হাতে থাকা ছোরা দ্বারা আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিতে গেলে আমার স্বামী বাম হাত দ্বারা ফিরাইলে তাহার বাম হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলে লাগিয়া রগ কাটা গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। আমার ছেলে ও আমার স্বামীর ডাক চিৎকারে আমাদের প্রতিবেশী মাহফুজুর রহমান মাহফুজ (২৫) আমার স্বামী ও আমার ছেলেকে রক্ষা করিতে আগাইয়া আসিলে ৪নং বিবাদীর হাতে ছোরা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। আমার ছেলে ও আমার স্বামী সহ প্রতিবেশীয় মাহফুজুর রহমান মাহফুজ (২৫) গন ডাক চিৎকার শুরু করিলে অন্যান্য বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা লোহার রড ও কাঠের ডাসা দ্বারা তাহাদেরকে এলোপাতাড়ী ভাবে পিটাইয়া নীলা ফোলা ও রক্ত জমাট জখম করে। তাহাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদীরা আমার ছেলে ও স্বামী সহ প্রতিবেশী মাহফুজুর রহমান মাহফুজ (২৫) কে জীবন নাশের হুমকি দিয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়। পরবর্তীতে আমি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমার ছেলে মাহফুজুর রহমান মাহিন ওরফে মার্টিন (১৯) এবং প্রতিবেশী মাহফুজুর রহমান মাহফুজ (২৫) দ্বয়কে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল খানপুর, নারায়ণগঞ্জে নিয়া চিকিৎসা করাই এবং আমার স্বামী মিজানুর রহমান (৪০) কে জেনারেল হাসপাতাল ভিক্টোরিয়া, নারায়ণগঞ্জ নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার স্বামীর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাহাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করিলে তাহাকে পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া চিকিৎসা করাই। ঘটনার বিস্তারিত এলাকার লোকজনদের জানাইয়া এবং আত্মীয় স্বজনের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।
অতএব, উল্লেখিত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে মর্জি হয়।
ফতুল্লা থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত এস আই আবু হানিফ বলেন মামলা রুজু করা হয়েছে আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন।