সবুজ মাহমুদ : নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ র্যালি বের করা কে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষ বেধে গেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন শাওন নামের যুবদল কর্মী।আজ শাওনের বাসায় গিয়ে সান্তনা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অধ্য ২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বেলা ১২টায় ফতুল্লা থানার এনায়েতনগরের নবীনগর বাজারে শাওনের বাড়িতে যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আগমনের খবরে বাড়ির আশেপাশে বিএনপির প্রচুর নেতাকর্মী জড়ো হন। তারা শাওনের বিচার দাবীতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ওই সময়ে পরিবার মির্জা ফখরুলকে জানান শাওন যুবদলের মিছিল মিটিংয়ে নিয়মিত যেত।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শাওন যুবদলের রাজনীতি করতো এবং যুবদলের কর্মী ছিল সেটাও প্রমাণিত হয়েছে। যদি সে রাজনীতি নাও করে তাও একজনকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে মেরে ফেলার কোনো অধিকার পুলিশের নেই। পুলিশ মিথ্যাচার করছে। পুলিশের গুলিতেই যে শাওনের মৃত্যু হয়েছে, এটা প্রামণিত। শাওনকে হত্যার দায় তারা কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারে না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। কোথাও দাঁড়াতে দিচ্ছে না বিএনপিকে। পাখির মত সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনকে বলবো পাখির মতো মানুষ মারবেন না। আপনাদের দায়িত্ব জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া কাউকে এভাবে নির্বিচারে গুলি বা হত্যার জন্য না।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় শাওন নামে যুবদলের ওই কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এরপর শাওনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় দেড় ঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে শাওনের মৃত্যু ছাড়াও পথচারী-নারীসহ আরও ২৬ জন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটায় পুলিশের সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।