হরেক রংয়ের স্বপ্নগুলি বাক্সবন্দি করে ছুটে চলি;
ছুটে চলছি একা, জোর কদমে উদ্দেশ্যহীন।
ছুটে পালাতে হবে বহুদূর।
ইট, পাথরের কুঁচি, এবড়ো থেবড়ো পথ,
কখনো তপ্ত বালুর জ্বালাধরা পায়ে
শরীরটাকে টেনে নিয়ে শ্লথ চলা।
প্রশস্ত নদীতে বিরামহীন সাঁতরে চলা।
হঠাৎ যান্ত্রিক নৌযানের তীক্ষ্ণ আর্তনাদ
সর, সরে যা, না হয় ডুবে মরবি।
আমি সরি না, সরে যাই না
আমি চিৎকার করে বলি-
এখানেই ডুবিয়ে দাও,
অন্তের অধ্যায়টা শেষ হোক এখানেই।
তপ্ত বালু পুড়িয়ে দেয় না,
ক্যাকটাসগুলি হাসবে যে!
যান্ত্রিক নৌযান ডুবিয়ে মারে না,
পাঁশ কেটে বেড়িয়ে যায় ব্যঙ্গ করে।
সারাক্ষণই কে যেন কানে কানে বলে যায়-
তোর এই দুঃখের বোঝা তোকে মৃত্যুহীন করে দিয়েছে
এর সমাপ্তি নেই, অন্ত নেই,
মৃত্যুহীন ভারী বোঝা নিয়েই চলতে হবে।
আমার বুকফাটা আর্তনাদে
আকাশ থেকে ঝরে পড়ে অবিরাম বর্ষণ
জল সন্তরণে থাকা আমি বুঝে নেই প্রকৃতির ক্রূরতা।