কোনোভাবেই যেন কাটছে না চিনির দাম নিয়ে তৈরি হওয়া সংকট। বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে কিনতে প্রতিকেজি চিনির দাম ৯০ টাকার বেশি পড়ছে বলে দাবি খুচরা বিক্রেতাদের। বেধে দেয়া খুচরা দামের চেয়ে পাইকারি দাম বেশি পড়ায় অনেক দোকানিই বন্ধ রেখেছেন চিনি বিক্রি।গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি চিনির দাম ছিল ৮৪ থেকে ৮৮ টাকা। আর আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের দামে কেনা চিনি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আজ পাইকারি যে দামে বিক্রি হচ্ছে সে কারণে কেজিপ্রতি ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বস্তা চিনিতে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দাম বেড়েছে। সবকিছুর দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও চিনির দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এক ব্যবসায়ী বলেন, মিলে চিনির দাম তেমন না বাড়লেও ট্রাক লোড করা ও পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। এছাড়া, ডিপো ও ডিলাররা সিন্ডিকেট করে দামবৃদ্ধি করছে। ফলে আমাদের বেশি দামে চিনি কিনতে হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে ৫০ কেজির চিনির বস্তা কিনতেন ৪২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪৩০০ টাকায়। দুইদিন আগে চিনি কিনতে হয়েছে ৪৫০০ টাকায়। তবে প্যাকেট জাত চিনির দাম গত এক সপ্তাহে বাড়েনি। সেগুলো প্যাকেটের গায়ে লেখা দামেই (৯৫ টাকা) বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে চিনির দামের প্রভাব পড়েছে চা দোকানগুলোতে। চিনির দাম বাড়ার অজুহাতে ৫ টাকার চা এখন ৮-১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাস্তার ধারের ২৫০ গ্রাম খোলা দুধ আগে বিক্রি হতো ২০ টাকায়। চিনির দাম বাড়ার কথা বলে দোকানিরা তা এখন বিক্রি করছেন ২৫ টাকায়।