প্রভাত বার্তা : বক্তাবলী ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ বাদশা মিয়ার সভাপতিত্বে ১৩৯জন শহীদ স্মরণে কানাই নগর স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য ১৯৭১সালের ২৯ই নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার বক্তাবলী পরগণায় পাক হানাদার বাহিনী নির্মম নির্যাতন করে একশত উনোচল্লিশ জন কে হত্যা করে। জ্বালাও পোড়াও করেন বাইশটি গ্রাম।স্বাধীনতা যুদ্ধে এক সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলায় এত প্রানের বিয়োগান্ত ঘটনা দ্বিতীয়টি আর নেই।স্বজন হারানো ব্যথা নিয়ে প্রতি বছর শ্রদ্ধার সাথে বক্তাবলী শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয় ।
২৯ই নভেম্বর ভোরে বক্তাবলী পরগণায় অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে আক্রমণ করে পাকহানাদার বাহিনী। পাক হানাদার বাহিনী মুক্তি সেনাদের না পেয়ে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, ধরে নিয়ে যায় একশত উনোচল্লিশ জন নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ।অমানুষিক নির্যাতন চালায় শিশু থেকে বৃদ্ধ আর নারীদের উপর।ধরে নেয়া নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ গুলো কে ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে লাইন করে দাঁড় করিয়ে বেয়নেট দিয়ে আঘাত করতে থাকে একের পর এক অমানুষিক নির্যাতন করার পর ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করা হয় একশত উনোচল্লিশ জন নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ কে।
সেই ১৯৭১ সাল আজও নারায়ণগঞ্জ জেলার বক্তাবলী পরগণার সাধারণ মানুষ ভুলতে পারেনি পাক হানাদার বাহিনীর তাণ্ডবলীলা, ভুলতে পারেনি একশত উনোচল্লিশ জন শহীদের আত্নত্যাগের কথা। আজও নারায়ণগঞ্জ জেলার সর্বস্থরের তথা বক্তাবলী পরগণার সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার ৫১ বছর যাবত ২৯শে নভেম্বর কে যথাযোগ্য মর্যাদায় বক্তাবলী শহীদ দিবসকে শোকের দিন হিসেবে পালন করে আসছে।
উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি নজরুল ইসলাম,বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি সহসভাপতি মাহমুদ মেম্বার,বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিম আজাদ, সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ ইউসুফ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক দিদার হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারাণ সম্পাদক মহিউদ্দিন, ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সালে আহমেদ ৬নং ওয়ার্ড যুবদলের
সভাপতি মোকলেছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান, যুবদল নেতা সালাউদ্দিন, ৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আবদুল আলী। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদউল্লাহ, সদস্য ইউনুস গাজী, ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রদল সভাপতি আল আমিন গাজী
বিএনপি নেতা আলমগীর মীর, শরিফ, বজলু, মুক্তার প্রমুখ