মর্টার শেল নিক্ষেপের’পর এবার মিয়ানমারের দুটি যুদ্ধবিমান ও দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার বান্দরবানে বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে গোলাবর্ষণ করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শনিবার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় এসব যুদ্ধবিমান হানা দেয় বলে নিশ্চিত করেছেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।
এতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলীর বিজিবির বিওপির (সীমান্ত চৌকি) আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০ ও ৪১ নম্বর মাঝামাঝি এলাকায় ঢুকে পড়ে এসব যুদ্ধ বিমান।”
এর আগে ২৮ অগাস্ট দুপুরে ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে দুটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল এসে পড়ার পর দেশটির রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিল ঢাকা।
তার পাঁচ দিনের মাথায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে পড়ার তথ্য জানিয়ে এসপির বিবৃতিতে বলা হয়, এ সময় যুদ্ধবিমান থেকে আনুমানিক আট-থেকে ১০টি গোলা এবং হেলিকপ্টার থেকে ৩০ থেকে ৩৫টি ফায়ার করতে দেখা গেছে।
আরও বলা হয়, যুদ্ধবিমান থেকে ফায়ার করা দুটি গোলা ৪০ নম্বর সীমান্ত পিলার ১২০ মিটার বরাবর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু সীমান্ত পিলার ৩৪ ও ৩৫ নম্বর এলাকায় মিয়ারমানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিপি) রাইট ক্যাম্প থেকে ভারী অস্ত্রের ফায়ার এখনও চলমান রয়েছে।
এ ছাড়া মুরিঙ্গাঝিরি ও রাইট ক্যাম্প থেকে থেমে থেমে মর্টার ফায়ারও অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে এ বিষয়ে জানার জন্য কক্সবাজার বিজিবি-৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মেহেদী হোসাইন কবিরকে কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।