স্টাফ রিপোর্টার: নারায়নগঞ্জ জেলা শহরের ফতুল্লা থানাধীন ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ ২নং ওয়ার্ড মেম্বার জাকির হোসেন প্রধানের অসামাজিক আচরণ ও কার্যক্রম এবং তাঁর ছত্রছায়ায় গড়ে উঠা সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। মেম্বার জাকির হোসেন প্রধান সহ তার অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে স্হানীয় এলাকাবাসী ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সেই সাথে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এর কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন বলেও জানান ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
ভূক্তভোগীরা জাকির হোসেন প্রধান এর বিরুদ্ধে বলেন, ফতুল্লা দাপা ইদ্রাক পুরের ফালু প্রধান এর পুত্র জাকির প্রধান (৪৫) ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার পদে এলাকাবাসীর ভোটে নির্বাচিত হয়ে মেম্বারের দ্বায়িত্ব পেয়ে জনগণের সেবা করার পরিবর্তে এলাকাবাসীর উপর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে জনসাধারণকে জিম্মি করে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাঁর ক্ষমতায় তার ভাই আবুল কালাম (৫০) নিজেও এলাকায় দাপট দেখিয়ে থাকেন।
দুজনের ছত্রছায়ায় পরিবারের লোকজন ও এলাকার কিছু উশৃংখল যুবকদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন একটি অপরাধী চক্র। এ দলের মুল হোতা মেম্বার জাকির হোসেন প্রধান নিজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদকদ্রব্য সেবন ও বিক্রি করা সহ সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে চলছে। এসন্ত্রাসী দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে মেম্বার জাকির হোসেন প্রধান এর পুত্র প্রান্ত(২৩), শহিদুল এর পুত্র জয়(৩০),আবুল কালামের পুত্র রাতুল(১৮)। এদের সাথে রয়েছে আরো প্রায় ৪/৫ জনের মতো জনবল। এদের হেফাজতে রয়েছে দেশী ও বিদেশি ধারালো অস্ত্র। এলাকায় হাতে অস্ত্র নিয়ে মোহরা দিয়ে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ বা মুখ খুললেই মারধরের শিকার হতে হয়। এলাকাবাসী তাদের ভয়ে সবসময় আতংকে থাকে। তারা আরো বলেন,গত ৭ মে জাকির মেম্বার প্রধান,আবুল কালাম, জয়,রাতুল,প্রান্ত সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে আমরা যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছি ঝর্ণা বেগম,নাছরিন আক্তার, সোনিয়া বেগম,আসমা,আনোয়ার হোসেন এরা সবাই ফতুল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এ ছাড়াও ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর নিকট মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানাই। অপরদিকে জাকির হোসেন প্রধান এর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে আমাদের অথাৎ ইকবাল, আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর, আবির,জিতু,রিফাত,রাব্বিএর বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ করেন।
ভূক্তভোগীদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মেম্বার জাকির প্রধান বলেন, এলাকায় কোন সমস্যা হলে আমাকে সেখানে যেতে হয়। আমার ভাইয়ের ছেলের সাথে মারামারি কথা শুনে আমি গেলে তারা আমাকে সন্মান না দিয়ে খারাপ ব্যবহার করে।আমার ভাই এ নিয়ে থানায় আগে অভিযোগ করে পরে তারাও আমাকে জড়িয়ে থানায় অভিযোগ করেছে বলে জেনেছি। যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে বরং তাদের অনেকেই মাদকের সঙ্গে জড়িত। আমি কোন অন্যায় বা অপরাধ কাজের সাথে জড়িত নই।
ঝর্ণা বেগম এর অভিযোগের তদন্তে দ্বায়িত্বে থাকা এস আই কাজী রেজাউল এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি কর্মব্যস্ততার জন্য এখনো ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাইনি। বাদীর সাথে ফোনে কথা হয়েছে। তবে আজ সময় করে যাবো।
ভুক্তভোগী সকলের দাবি জাকির হোসেন প্রধান একজন অসামাজিক ব্যক্তি। তিনি এলাকার উন্নয়নের কথা না ভেবে কি ভাবে নিজের পকেট ভারী করা যায় সেই ধান্দায় ব্যস্ত। তার ভাই সহ সন্ত্রাসী লোকজন দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি,প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও বিক্রি করে থাকে। আমরা কোন প্রতিবাদ করলে আমাদের হুমকি ধমকি, মারধর ও মামলা দিয়ে হয়রানি করার ভয় দেখিয়ে থাকে। আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সহ গোয়েন্দা সংস্থার নিকট দাবী জানাই তাদের অপরাধ মূলক কার্যক্রমের বিষয়ে অনুসন্ধান করে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করে আমাদের সমাজকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত রাখার।