Probhat Barta

বৃহস্পতিবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪, রাত ১১:২৪ মিনিট

অনুসরণ করুনঃ

পুরুষ-রোবট:গাজী সাঈদ দেলোয়ার

জীবনের অনেক হিসাব মিলাতে গিয়ে-
ব্যর্থতার গ্লানি হয় বড় সম্বল।
যা সব চেয়ে বেশি প্যারা দেয়,
এই সমাজে থাকা পুরুষ নামের রোবটগুলোকে।

নিজের বাড়ি বা আত্নীয়,
যেখানেই যাবেন, সেখানেই-
একজন সফল পুরুষের জয়জয়কার শুনতে পাই-
অথচ তার সফলতার পেছনের রহস্যটা কেউ জানে না।
যদি জানতো তবে পুরুষদের চোখের জল লুকিয়ে গাল ভিজাতো না।

একজন পুরুষ কখনো চায়না,
তার পরিবার কিংবা আত্নীয় কেহই খারাপ থাকুক,
এটা কোন পুরুষ কেন কোন মানুষই চায় না।
সবাই চেষ্টা করে তার সর্বোচ্ছটা দিয়ে পাশে দাড়ানোর জন্য-
তবু বাস্তবতার কাছে কত কত পুরুষ অসহায়;
সে গল্পটা আজ না হয় নাইবা বল্লাম।

প্রতিটি পুরুষ সবার চাহিদা মেটাতে-
শতভাগ চেষ্টায় ত্রুটি রাখে না কখনো,
এবং সে নিজেই ভুলে যায়-
তার একজন স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।
অথচ কেউ কখনো জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন মনে করে না,
তাদের চাহিদা কতটা মেটাতে পেরেছি-
এই কঠিন বাস্তবতাকে বুকে লালন করে-
বেঁচে থাকে প্রতিটি পুরুষ, হাসি হাসি মুখে;
তার হাসির আড়ালে থাকা যন্ত্রণাটা কেউ কোনদিন,
উপলব্ধি ও করতে পারলো না, এটাই আফসোস।

সারাদিনের ঘামঝরা পরিশ্রম শেষে-
যখন রাতে বাসায় ফিরে,
সন্তানদের মুখটা মলিন দেখতে পাই-
তখন কলিজাটা ফেটে আত্মচিৎকারে,
খুব কাঁদতে ইচ্ছে করে-
কিন্তু সত্য এটাই চাইলেও পুরুষেরা কখনো কাঁদতেও পারে না-
পুরুষদের কাঁন্না মানায় না,
কারণ পুরুষ তো রোবট, মানুষ না।

আমি একজন পুরুষ, একজন স্বামী
যখন আমার স্ত্রীকে অসহায় দেখতে পাই-
দেখতে পাই তার মনের আকাশে মেঘ ভর করেছে
তখনও আমার বুকটা ফেটে কান্না আসতে চায়-
কিন্তু আমি বরাবরের মত পুরুষ, কান্না বে-মানান।

সব স্বামীরাই চায়, তার স্ত্রী সন্তান সুখে থাকুক-
ভালো থাকুক, তবু বাস্তবতার করুন রোদনে-
কত কত পরিবার ভালো থাকতে পারে না;
চোখের গহীনে জল লুকিয়ে তারা হেটে চলে
আগামী দিনটায় ভালো থাকবে এই আশায়
রোজ জীবনের সাথে করে চলেছে আমরণ যুদ্ধ।

তবু কত’কে সফল হলেও কত’কে শুধু ব্যার্থই রয়ে যায়;
আর সারাটা জীবন এই ব্যার্থতার গ্লানি বয়ে বেড়াতে হয়
যার ওজন কেউ জানে না, যে বয়ে বেড়ায় সে জানে, আর কেউ জানে না।

About The Author

শেয়ার করুন :

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত: