২২ অক্টোবর মঙ্গলবার’নিরাপদ সড়ক দিবস’ উপলক্ষ্যে’সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ’কর্তৃক, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন,ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা৷ উক্ত সভায় ছাত্র জনতার অঙ্গীকার,নিরাপদ সড়ক হোক সবার”এই স্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠানে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন শ্রেণির অতিথিরা বক্তব্য রাখেন৷ অনুষ্ঠানের শুরুতেই গঠনমূলক বক্তব্য রেখে প্রশংসিত হন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের তানজিদ সোহরাব। এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেম,প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও সভাপতির বক্তব্য রাখেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব মোঃ এহছানুল হক। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব মোঃ এহছানুল হক মহোদয়ের আমন্ত্রণে ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ থেকে সভাতে উপস্থিত ছিলেন–
রাকিবুল ইসলাম হিমেল,নিরব রায়হান,মোঃ রিফাত হোসাইন অন্তূ,মোহাম্মদ সোহেল,হাসিবা হাসনাত সামিয়া, মো:সাকিব হোসেন,করবি হাসান আইরিন,সুমাইয়া সেফা বিসমি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে নিরব রায়হান জানান, ২০১৮ সালে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যাপীঠ ছেড়ে,ঘর ছেড়ে এমনকি নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজপথে নেমে পড়েন। দাবি ছিলো একটাই, নিরাপদ সড়ক চাই। তখন বিভিন্নভাবে তৎকালীন স্বৈরাচার সরকার দমনপীড়ন করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর৷ কিন্তু সবকিছুর ঊর্ধ্বে থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন তখন থেকে আজ অবধি সোচ্চার রয়েছে এই দেশে নিরাপদ সড়ক গঠনের লক্ষ্যে। আজকের দিনকে কেন্দ্র করে আমরা নতুনভাবে জানান দিতে চাই,নিরাপদ সড়কের কোনো বিকল্প নাই৷ জনমানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করুক,দেশে নিরাপদ সড়ক হোক। আরেকটি বিষয় বলতে হয়,আমরা মনে করি নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের একটি স্পৃহা। শিক্ষার্থী সমাজ ২০১৮ সালের আন্দোলন থেকে শক্তি জুগিয়ে পরবর্তীতে স্বৈরাচার সরকার বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলন পরিচালনা করেছে। বিগত স্বৈরশাসক সরকারকে রুখে দিতে ২০১৮-এর নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ভূমিকাও অপরিহার্য।