বিশেষ প্রতিনিধি:দূর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
গতকাল রবিবার (১২ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আস-সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন সাবেক এমপি বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিনের পক্ষের আইনজীবী। এতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ আদালত। দেন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউশন শাখার সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। এরপর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ তিনি আত্মসমর্পণ করে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। তবে মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২ নভেম্বর গিয়াস উদ্দিনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য
২০০৮-২০০৯সালের করবর্ষ থেকে ২০২১-২০২২ করবর্ষে পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে গিয়াস উদ্দিনের ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ৪৩ টাকা ব্যয়ের তথ্য পায় দুদক। এসকল ব্যয়ের বিপরীতে বিভিন্ন সময়ে সঞ্চয়ী হিসাবে ছয় কোটি ৮১ লাখ ২২ হাজার ৮৫৬ টাকা, গৃহ সম্পত্তি থেকে আয়ের দুই কোটি ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫০ টাকা, পিতার কাছ থেকে হেবা মূল্যে প্রাপ্ত ১১ শতাংশ জমিসহ সাত কোটি টাকার দালান, চার লাখ ৩২ হাজার টাকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ মোট ১৭ কোটি ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৭ টাকার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য উৎস পাওয়া যায়।
তবে, গিয়াস উদ্দিনের আয়কর নথি অনুযায়ী, কাসসাফ শপিং সেন্টার-১ নির্মাণ ব্যয় প্রদর্শনকালে ২০২১-২০২২ করবর্ষে মার্কেটের ৮০২ বর্গমিটার নির্মাণে এক কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩১ টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে বৈধ কোনো উৎস পায়নি দুদক। যা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়।
এ ঘটনার পরে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১’ এ দুদক উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এতে এক কোটি ৪১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। যা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। তাই দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।