ইরাকে ভয়াবহ আগুনে অন্তত ১১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। নিহত হতভাগ্যদের মধ্যে বর-কনেও রয়েছেন। তাদের চোখেমুখে যখন নতুন সংসার আর ভালবাসার একটি নীড় রচনার স্বপ্ন, ঠিক তখন আগুনে পুড়ে জীবন দিতে হলো তাদের। বিয়ের আসরেই হলো করুণ মৃত্যু।
নিহতদের মধ্যে বর-কনেও আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন নিনেভেহ স্বাস্থ্য বিষয়ক ডিরেক্টরেটের উপপ্রধান আহমেদ দুবারদানি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।
তাতে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় পুড়ে যাওয়া আরও কমপক্ষে ৫০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরের অর্ধেকের বেশি অংশ পুড়ে গেছে।
এ ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ১৭ বছর বয়সী রানিয়া ওয়াদ বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে বর-কনে স্লো-ড্যান্স করছিলেন। তখনই আতশবাজি ছাদে গিয়ে আঘাত করে। এতে আগুন ধরে যায়।
তিনি আরও বলেন, মুহূর্তের মধ্যে চারদিক অন্ধকার হয়ে যায়। আমরা কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম না। দম বন্ধ হয়ে আসছিল। বুঝতে পারছিলাম না কিভাবে বের হব।